শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

বাঙালি নদীর এক কিঃমিঃ ৬ ড্রেজারে বালু উত্তোলণ

বাঙালি নদীর এক কিঃমিঃ ৬ ড্রেজারে বালু উত্তোলণ

স্টাফ রিপোর্টার : সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় বাঙালি নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর উপর নির্মিত কাটাখালি ব্রিজ ও প্রায় দেড় শ’ বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে হুমকি হয়ে পড়েছে। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকোরা আরও বেপরোয় হয়ে উঠেছে। অসহায় হয়ে পড়েছ নদীকুলের মানুষ।
রামনগর এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাঙালি নদীর রামনগরে এক কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু তোলা হচ্ছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এসব ড্রেজার মেশিনে অনাবরত বালু তোলা হচ্ছে। এসব বালুবাহী কাকড়া গাড়ী সাড়াটাদিন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। রামনগর এলাকার হাসানুর রহমান, হাসিবুর রহমান, আব্দর রশিদ, শরিফুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম এসব বালু উত্তোলণের হোতা। দাপটের সাথে তারা এ অবৈধ ভাবে বালু তুলে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। দির্ঘদিন ধরে একই এলাকায় বালু তোলার কারনে আশে পাশে নদীপারের ফসলি জমির নিচ দিয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাটাখালী ব্রিজটিও হুমকির মুখে পড়েছে।
অন্যদিকে অবৈধ ট্রাক্টরের সাহায্যে এব বালু বোঝাই করে দিনরাত দাপিয়ে চলছে গ্রামের বিভিন্ন ছোট সড়কে। বালুর অধিক বোঝাই নিয়ে বার বার যাতায়াত করায় রাস্তা গুলো ফেটে নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খন্দকার জানান, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও এসব বালু খেকোরা কথা শুনছে না। দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ছে এই বালু খেকোরা। এ এলাকার মানুষজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বলেও জানান তিনি। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মনোরঞ্জন বর্মণ জানান, কয়েকবার ওই নদী থেকে ড্রেজার জব্দ করে আনা হয়েছে। আবারও বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com